বাংলাদেশে পাট প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে: তোষা পাট (Corchorus olitorius) ও দেশি পাট (Corchorus capsularis)। এই দুই ধরনের পাটই আঁশ উৎপাদনের জন্য বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তোষা পাট উচ্চ মানের ও সোনালি রঙের মসৃণ আঁশের জন্য পরিচিত। এর গাছ লম্বা হয় (৮–১২ ফুট), পাতা সরু এবং এটি সাধারণত হালকা দোআঁশ বা বেলে মাটিতে ভালো জন্মে। শিল্প খাতে ও রপ্তানিতে তোষা পাটের চাহিদা বেশি।
অন্যদিকে, দেশি পাট তুলনামূলকভাবে খাটো গাছ, চওড়া পাতা ও মোটা আঁশবিশিষ্ট। এর আঁশ রুক্ষ ও শক্তিশালী হলেও মানে কিছুটা পিছিয়ে। এটি ভারী ও জলধারক মাটিতে ভালো হয় এবং স্থানীয় ব্যবহারে উপযোগী।
এছাড়া, গবেষণালব্ধ কিছু উন্নত জাত (যেমন: বিজয়, জেআরও-৫২৪) এবং কেনাফ (Kenaf) নামক পাটজাতীয় উদ্ভিদও সীমিতভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
পাটের ধরন চেনা যায় গাছের উচ্চতা, পাতার আকার, আঁশের রঙ ও মসৃণতার ভিত্তিতে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো বুঝে সঠিক জাত নির্বাচন করলে কৃষক অধিক ফলন ও মুনাফা পেতে পারেন।
